কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন

কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন এটা অনেকেই জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্য কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পোস্টের মাঝে। আপনি যদি কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনার চিন্তা করে থাকেন তবে কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন এই বিষয়ে বিস্তর জ্ঞান লাভের জন্য ধারাবাহিকভাবে পুরো পোস্টটি পড়ে নিন।

কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন

যদিও একটি মোবাইল ফোন কেনার খুবই আগ্রহ আমাদের অনেকের মাঝেই লক্ষ্য করা যায় তবুও এক সাথে অনেকগুলো অর্থের অভাবে অনেকেই কিনতে পারেন না সাধের এই  ফোন। তাই যারা কিস্তিতে ফোন কেনার কথা ভাবছেন এই পোস্টটি তাদের জন্য। 

পেজ সূচীপত্রঃ কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন জেনে নিন

কিস্তিতে কি সত্যিই ফোন পাওয়া যায়?

আসলেই কি কিস্তির মাধ্যমে ফোন ক্রয় করা সম্ভব? তাহলে বলুন তো কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন? হ্যাঁ এটা সত্য যে কিস্তির মাধ্যমে সাধের স্মার্টফোন কিনতে পাওয়া যায়। তবে তার জন্য কোম্পানি ভেদে বিভিন্ন শর্ত রয়েছে। আপনি যদি কিস্তির মাধ্যমে একটি স্মার্টফোন ক্রয় করার চিন্তা করে থাকেন তবে আপনাকে শর্তাবলীর দিকে নজর দিতে হবে। 

কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে কি কি লাগে 

আমরা এটা অনেকেই জানি যে, আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যই আমরা এখন কিস্তিতে কিনতে পারি। তাহলে বলুন তো, কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন? হ্যাঁ চলুন আমরা এর বিস্তারিত জেনে নিই। বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগসহ পড়ে নিন।

আরো পড়ুনঃ পটল চাষ কিভাবে করতে হয়?

আমাদের যাদের এক মোটে অনেকগুলো অর্থ যোগানো অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য কিস্তির ব্যবস্থা। আপনি যদি কিস্তির মাধ্যমে একটি মোবাইল ফোন কিনতে চান তাহলে আপনার যে ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন পড়বে তা এক পলকে দেখে নিন-

  • আপনার নিজের ভোটার আইডি কার্ড এর কপি।
  • একজন গ্র্যান্টারের ভোটার আইডি কার্ডের কপি।
  • এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আলাদা আলাদা শর্ত থাকতে পারে।

কিস্তিতে ফোন কোথায় পাবো?

আপনি যদি কিস্তিতে একটি মোবাইল কেনার কথা চিন্তা করে থাকেন তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন ভেন্ডর থেকে ক্রয় করতে পারবেন। দারাজ, রবিশপ, গ্রামীণফোন স্টোর, ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তির মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন আপনার পছন্দের স্মার্টফোন। চলুন ধাপে ধাপে আমরা দেখি কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন তার পুরো প্রসেস।

দারাজ থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন ক্রয়

বাংলাদেশের স্বনামধন্য মার্কেটপ্লেস দারাজ থেকে আপনি আপনার পছন্দের ফোন ০% থেকে শুরু করে ১২%  ইন্টারেস্ট এর মধ্যে ক্রয় করতে পারেন। তাহলে দারাজ থেকে কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন? তবে আপনি যদি দারাজ থেকে কিস্তির মাধ্যমে একটি স্মার্টফোন ক্রয় করতে চান তবে আপনাকে নিচের যে কোন একটি ব্যাংকের গ্রাহক হতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা

অন্যথায়, কিস্তিতে দারাজ থেকে আপনার সাধের স্মার্টফোন ক্রয় করতে পারবেন না। তো চলুন দেখি কোন ব্যাংকের গ্রাহকেরা দারাজের বিশেষ বিশেষ ‍সুবিধাগুলো লাভ করে থাকে।

  • এন আর বি ব্যাংক (NRB Bank)
  • মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (Mutual Trust Bank)
  • সিটি ব্যাংক (City Bank)
  • ইস্টার্ন ব্যাংক (Eastern Bank)
  • যমুনা ব্যাংক (Jamuna Bank)
  • ব্র্যাক ব্যাংক (Brac Bank)
তাহলে, আপনি যদি এসব ব্যাংকের যে কোন একটির গ্রাহক হয়ে থাকেন তবে দারাজ থেকে কিস্তিতে ক্রয় করুন স্মার্টফোন। আশা করছি, দারাজ থেকে কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন সেটা বুঝতে পারছেন। এবার চলুন, রবিশপ থেকে কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন দেখে নিই এবং ধারাবাহিকভাবে আমরা দেখবো, গ্রামীণফোন স্টোর, ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিভাবে কিস্তির মাধ্যমে স্মার্টফোন ক্রয় করতে হয়।

রবিশপ থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন ক্রয়

আপনি চাইলে আপনার পছন্দের স্মার্টফোন রবিশপ থেকেও কিস্তির মাধ্যমে ক্রয় করতে পারেন। তার মানে রবিশপ থেকে কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন তা এ পর্যায়ে আলোচনা করা হচ্ছে। মনোযোগসহ পড়তে থাকুন আর রবিশপ থেকে নিয়ে নিন আপনার সাধের স্মার্টফোন। রবিশপ থেকে ফোন কেনার জন্য আপনার নিচের ডকুমেন্টগুলোর প্রয়োজন পড়বে। 

  • আপনাকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। তার মানে আপনার বয়স যদি ১৮ বছর এর নিচে হয় তবে আপনি রবিশপ থেকে ফোন কিস্তির মাধ্যমে কিনতে পারবেন না।
  • রবিশপ থেকে ফোন কেনার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি রবি সিমের অধিকারী হতে হবে।
  • রবিশপ থেকে কিস্তির মাধ্যমে ফোন কেনার জন্য আপনার পরিচিত একজন গ্র্যান্টার আবশ্যক।
  • অবশ্যই আপনার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড লাগবে, এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অথবা পাসপোর্ট দিয়ে কোন কাজ হবে না।
  • সুদসহ আপনাকে কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য ৬ মাস কিংবা ২ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।

গ্রামীণফোন স্টোর থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন ক্রয়

বর্তমান সময়ে অন্যান্য সিমের তুলনায় গ্রামীণফোন অনেক বেশি এগিয়ে। যদিও গ্রামীণফোন বাংলালিংক এর পরে মার্কেটে এসেছে। আপনি যদি কিস্তির মাধ্যমে গ্রামীণফোন স্টোর থেকে ফোন কিনতে চান অর্থাৎ গ্রামীণফোন স্টোর থেকে কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন এ বিষয়ে জানতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।

  • গ্রামীণফোন স্টোর থেকে কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন কেনার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। তার মানে আপনার বয়স যদি ১৮ বছর এর নিচে হয় তবে আপনি এখান থেকে কিস্তিতে ফোন কিনতে পারবেন না।
  • গ্রামীণফোন স্টোর থেকে ফোন কেনার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি গ্রামীণফোন সিমের মালিক হতে হবে।
  • গ্রামীণফোন স্টোর থেকে কিস্তির মাধ্যমে আপনার পছন্দের স্মার্ট ফোন কেনার জন্য আপনার পরিচিত একজন গ্র্যান্টার এর প্রয়োজন পড়বে।
  • এর জন্য অবশ্যই আপনার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড দিয়েই এই ফোন ক্রয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অথবা পাসপোর্ট দিয়ে কোন কাজ হবে না।
  • রবিশপের মত গ্রামীণফোন স্টোর থেকে নেওয়া ফোনের টাকা সুদসহ আপনাকে পরিশোধের জন্য ৬ মাস কিংবা ২ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।

ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন ক্রয়

আপনি যদি দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন ক্রয় করতে চান তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনাকে কিন্তু পাঁচ হাজার টাকার অধিক মূল্যের স্মার্টফোন ক্রয় করতে হবে। এছাড়া আপনি ওয়ালটনের স্মার্টফোন কিস্তিতে ক্রয় করতে পারবেন না। তাহলে, ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন এ বিষয়ে যদি বিস্তারিত বলতেন। আরে দাড়ান! বলছি তো, শুনুন। যাই হউক আপনাকে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো এক পলকে দেখে নিন।

  • ওয়ালটন প্লাজা থেকে ওয়ালটনের কোন স্মার্টফোন যদি আপনি কিস্তির মাধ্যমে ক্রয় করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। ১৮ বছরের নিচে কোন ব্যক্তি ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তির মাধ্যমে ফোন ক্রয় করতে পারবে না।
  • রবিশপ এবং গ্রামীণফোন স্টোর থেকে ফোন কিস্তির মাধ্যমে ক্রয়ের সময় যেমন তাদের নিজস্ব সিমের মালিক হওয়ার প্রয়োজন ছিল এখানে কিন্তু এমন ধরাবাধা নিয়ম নেই। 
  • ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তির মাধ্যমে ফোন কেনার জন্য আপনার পরিচিত একজন গ্র্যান্টার আবশ্যক।
  • অবশ্যই আপনার একটি জাতীয় পরিচয় পত্র নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র ভোটার আইডি কার্ড লাগবে, এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন অথবা পাসপোর্ট দিয়ে কোন কাজ হবে না।
  • ওয়ালটনের ক্ষেত্রেও, সুদসহ আপনাকে কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য ৬ মাস কিংবা ২ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে।

আমাদের শেষকথা

তো বন্ধুরা, এতক্ষনে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন? আপনারা যদি কিস্তির মাধ্যমে একটি ভালোমানের স্মার্টফোন ক্রয় করতে চান তবে উপরের বিষয়গুলো আপনার কাজে লাগবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আপনি যদি কিভাবে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনবেন এ বিষয়ে উপরে আলোচনার বাইরে নতুন কোন তথ্য জেনে থাকেন তবে আমাদেরকেও জানিয়ে দিন আপনার মূল্যবান মতামত। আল্লাহ্ হাফেজ ২৪৬১৪

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url