বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন
পোস্ট সূচিপত্রঃ বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাত ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন
- বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন
- বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন
- হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে গেলে করণীয়
- হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার উপায়
- উপসংহার
বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন
বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণটা মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনি জেনে খুশি হবেন যে, বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন? এ বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল জুড়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনার উপকারে আসবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন। রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল, বুজতে পারছেন বুক ধড়ফড় করছে।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এটা কি কোন বড় ধরনের অসুখের লক্ষণ নাকি? আসলে বুক ধড়ফড় করা খুব একটা বিরল ঘটনা না। রাতে ঘুমানোর সময় পাশ ঘুরে ঘুমালে, বুক ধড়ফড় করতে পারে আবার অনেকের সারাদিনই বুক ধড়ফড় করে, কিন্তু বিশ্রামের সময় তা বুজতে পারে। বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন? এই বিষয়কে একেবারেই সাধারণ ব্যাপার মনে করা ঠিক না বিভিন্ন কারণে বুক ধড়ফড় করতে পারে। যেমন-
- অতিরিক্ত চা কফি পান করা।
- সন্ধ্যার পরে চকলেট খাওয়া।
- রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া, রক্তস্বল্পতা ও রক্তচাপ কমে যাওয়া।
- ঘুমানোর আগে মদ্যপান করা।
- কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
- রাতে পরিপূর্ণ ঘুম না হওয়া।
- অবসাদ উদ্বেগ।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম করা।
- জ্বর।
- মানসিক চাপ।
- ব্যায়াম করা।
- হৃদরোগের কারণেও বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদেরও বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকেও বুক ধড়ফড় করে।
আরো পড়ুনঃ পেট ব্যাথা কেন হয় - পেটে ব্যথা হলে কী করবেন
তাহলে আপনি বুজতে পেরেছেন, কি কি কারনে সাধারণত বুক ধড়ফড় করতে পারে। কিন্তু বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন? এটার সঠিক সমাধান দিতে পারেন চিকিৎসক। তবে আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। যেমন-
- কখন এ সমস্যা হয়?
- এ সমস্যা কতক্ষণ থাকে?
- বুক ধরফড়ানির আগে ও ধড়ফড়ানির পরে শরীর কেমন ছিল?
- আপনি কোন বিষয় নিয়ে কি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেছেন কি?
- বুক ধড়ফড় করার আগে, আপনি কি কোন কাজ করেছিলেন?
- আপনি এমন কোন খাবার বা পানীয় গ্রহণ করেছিলেন যা নিয়মিত করেন না?
আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০টি উপকারিতা - সকালে ব্যায়াম করার ১০ নিয়ম
এ সমস্ত প্রশ্নের ভিত্তিতে ডাক্তার আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিবেন এবং যদি তিনি মনে করেন যে, ইসিজি, ইটিটি, রক্ত পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষা করবেন তা করতে পারেন। যাদের আগে থেকেই থাইরয়েড বা হৃদরোগের সমস্যা আছে, তাদেরকে একটু বেশি সচেতন ভাবে থাকতে হবে। তাহলে আপনি আর্টিকেলটির এ পর্যায়ে এসে বুজতে পেরেছেন যে, বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন।
বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন
বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। বুক ধড়ফড় করলে যে সমস্ত বন্ধুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের জন্য আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন, জানতে হলে আর্টিকেলটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন জানতে পারলে আপনি আর আতঙ্কিত হবেন না। অনেক কারণেই মানুষের বুক ধড়ফড় করতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারন নিয়ে আমি আলোচনা করলাম।
- অতিরিক্ত পরিশ্রম, দৌড় ঝাঁপ, খেলাধুলা করা, ব্যায়াম করা ইত্যাদি কারনে বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- জ্বর, রক্তস্বল্পতা ও উদ্বেগ জনিত কারনে বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- ডায়রিয়া, রক্তক্ষরন, বমি ইত্যাদির কারনে, শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিলে বুক ধড়ফড় করে।
- ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে ও থাইরয়েড রোগের কারণেও বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- হার্টের বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কারনেও বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- কিছু কিছু ঔষধের কারনেও বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- অতিরিক্ত চা, কফি ও ধূমপান করার কারনে ও বুক ধড়ফড় করতে পারে।
- অতিরিক্ত ভয় ও আতঙ্ক জনিত কারনেও বুক ধড়ফড় করতে পারে।
হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে গেলে করণীয়
বেশির ভাগ লোকই জানে না হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে গেলে করণীয় কি? আপনি যদি হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে গেলে করণীয় কি? এ বিষয়ে না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার বেশ উপকারে আসবে। বুক ধড়ফড় বা হার্টবিট একই জিনিস চলুন তাহলে শুরু করা যাক হঠাৎ হার্টবিট বেড়ে গেলে করণীয় কি?
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন হঠাৎ করে হার্টবিট বেড়ে গেলে, উত্তেজিত বা দুশ্চিন্তা না করে শান্ত থাকতে হবে।
- বুক ধড়ফড় করলে সমান কোন জায়গায় আস্তে আস্তে হাঁটতে হবে।
- নিঃশ্বাস আস্তে আস্তে নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে ছাড়তে হবে।
- আপনি হালকা গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।
- পরিস্থিতি যদি খারাপ মনে হয় তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার উপায়
হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার উপায় নিয়ে আমি আপনাদের সঙ্গে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব। আশা করি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার উপায় জানার পরে আপনারা উপকৃত হবেন। আমাদেরকে টেনশন ফ্রি জীবন যাপন করতে হবে, সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে এবং যেকোনো ধরনের উত্তেজনা পরিহার করতে হবে, অতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না এছাড়াও আরো উল্লেখযোগ্য কিছু উপায় নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- খেলার ছলে ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তোলা।
- খাদ্য অভ্যাস পাল্টাতে হবে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- ইতিবাচক মনোভাব রাখতে হবে এবং টেনশন কমাতে হবে।
- ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে।
আপনি যদি উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন, তাহলে আপনার হৃদয় স্পন্দন স্বাভাবিক থাকবে। আপনি নিশ্চয়ই বুজতে পেরেছেন হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার উপায় কি।
উপসংহার
পরিশেষে এ কথাই বলব যে, অতি নগণ্য সমস্যাও অনেক সময় অনেক বড় আকার ধারণ করে তাই এ ধরনের সমস্যাকে একেবারেই সাধারণ সমস্যা বলে মনে না করে একটু সতর্ক হতে হবেন এবং একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন। আর্টিকেলটিতে আমি বুক ধড়ফড়ের কারণে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে কি করবেন? এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনার উপকার হয়েছে।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি যা খুঁজছিলেন সে তথ্য পেয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url