শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
অনেকেই শুকনো কাশি সমস্যায় ভুগে থাকেন। এবং বিভিন্ন জায়গায় শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে খোঁজ করে থাকেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়
ভূমিকা
বিভিন্ন কারণে শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে তাকে পুরনো কাশি বলে আর সঙ্গে কফ না থাকলে সেটাকে খুশখুসে বা শুকনো কাশি বলে। সাধারণত হাঁপানি বিভিন্ন রকমের ওষুধ সেবন বা বিভিন্ন ধরনের অ্যাজমা জনিত কারণে শুকনো কাশি হতে পারে। বাহিরের বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন ব্যবহার না করে শুকনো কাশি ঘরোয়া উপায় ভালো করা যায়। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়
অনেক কারণে আমাদের শুকনো কাশি হতে পারে ঋতু পরিবর্তন বা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের ফলেও শুকনো কাশি দেখা দিতে পারে। শুকনো কাশি হলে এটি কমার নাম নেয় না এবং শুকনো কাশির সাথে সাথে বুক ব্যথা মাথাব্যথা বয়ে আনে। এ সকল শুকনো কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকে এ সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকে এবং খোঁজ করে থাকে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক। বাহিরের বা বাজারের মেডিসিন ব্যবহার না করেও ঘরোয়া উপায়ে শুকনো কাশি দূর করা যায় আমরা আজকে সে নিয়ে আলোচনা করব।
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায়-
- মধু- মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কাশি কমাতে সাহায্য করে। রোজ এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন অথবা লিখার চায় মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- হলুদ- হলুদে কারকিউমিন নামে যে উপাদান আছে তার জীবাণুরোধী ও অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ হলুদ ও আট ভাগের এক চা চামচ গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে পান করুন।
- আদা- আদাতেও যে অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি ও জীবাণুররোধী উপাদান আছে তা কফ দূর করতে সাহায্য করে। আদা কুচি করে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করুন বার লিকার চায়ে আদা কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- তুলসী- তুলসী পাতাতে ভিটামিন সি ও জিংক আছে, যা প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
- মসলা চা- পানিতে লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদি গরম মসলা মিশিয়ে জাল দিয়ে সেই হারবাল টি পান করুন। এতে গলার প্রদাহ কমবে আর কাশি দূর হবে।
- রসুন- রসুনের অ্যালিসিন উপাদান জীবাণু ধ্বংসের উপকারী ভূমিকা রাখে। রোজ সালাদের সঙ্গে একটু রসুন কুচি কিংবা গরম সুপে রসুন কুচি মিশিয়ে খান।
- গরম পানি- ১ গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ লবণ যোগ করে এবং সকাল-সন্ধ্যায় শোষণ করলে এটি শুকনো কাশি দূর করে।
- কালো মরিচ- কালো মরিচ কেউ কাশির জন্য ভালো উপায় বলা হয়। কালো মরিচ গুঁড়ো করুন এবং ঘিতে ভাজুন। এবং গলা এবং শুকনো কাশি থেকে রক্ষা পান।
- বেসির গুচ্ছ- বেসিলের পাতা গুরো করে নিন এবং রস বের করুন তারপর এতে আদা ও মধু মিশিয়ে পান করুন।
- লেবু- এক চা চামচ মধু ২ চা চামচ লেবুর রসে মেশান এবং দিনে চারবার এটি গ্রহণ করুন।
- পেঁয়াজ- ১ চা চামচ মধুতে ১ চা চামচ রস মেশান এবং দিনে দুইবার সেবন করুন।
- এলাচ- প্রত্যেক বাড়ির রান্নাঘরে থাকে ছোট এলাচ। মশলা হিসেবে নয় শুকনো কাশি থেকেও মুক্তি দিতে পারে ছোট এলাচ। ব্যথা এবং শুকনো কাশি হলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে এলাচ কে কাজে লাগান। এক কাপ পানি নিন। গ্যাসে বসিয়ে তাতে মধু এবং বেশ কয়েকটি ছোট এলাচ দিন। ফুটে গেলে এলাচ থেকে ওই জল পান করুন।
- লবঙ্গ- শুকনো কাশি দূর করার জন্য লবঙ্গ একটি ভালো উপায়। কয়েকটি লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন।
- গরম পানি দিয়ে গোসল- গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার শরীরের চেয়ে কফ জমে থাকবে তা আস্তে আস্তে গলতে থাকবে এবং আপনার কাশি দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
- ঘি- শুকনো কাশিতে দেশি ঘিয়ের সাথে গুড়ো ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন এবং তা পান করুন সেক্ষেত্রে প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর এই নিয়মটি মানলে বেশি উপকার মিলবে।
কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে শুকনো কাশি দূর করবেন
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যা। তার ভেতরে একটি সমস্যা হচ্ছে শুকনো কাশি। অনেকেই এই শুকনো কাশি নিয়ে ভোগেন দিনের পর দিন। এবং বিভিন্ন জায়গায় এর প্রতিরোধ খুঁজে বেড়ান। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় সার্চ করে থাকেন শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে জানার জন্য। বাহিরের মেডিসিন গ্রহণ না করেও অনেক সময় ঘরে বসে কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়ে ওঠে। শুকনো কাশি দূর করার আগে আমাদের জানতে হবে কেন শুকনো কাশি হয় চলুন এ সম্পর্কে সব বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
শুকনো কাশির কারণ-
- আপনার নাক এবং গলার অ্যালার্জিক কাশির কারণে শুকনো কাশি হয়।
- যদি আপনার হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার শুকনো কাশি হবে।
- আপনার যদি ঠান্ডা, জ্বর বা কোন ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ করে তাহলে আপনার শুকনো কাশি হতে পারে।
- যদি একজন ব্যক্তির ফুসফুসের ক্যান্সার তাহলে সেই ব্যক্তির শুকনো কাশি হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ চিকিৎসার কারণে আপনি শুকনো কাশির অভিযোগ পেতে পারেন।
- যখন নাকে সর্দি লাগে এবং সেগুলো গলে শুকনো কাশি হয়।
আরো পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালি ব্যথা দূর করার উপায়
শুকনো কাশি দূর করার উপায়-
- ধূমপান ও বায়ু দূষণ কাশির একটি অন্যতম কারণ। তাই ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ধূমপান করে এমন ব্যক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ধুলাবালিতে কাশি হলে ঘর ঝাড়ু দেওয়া বা ঝুল ঝাড়ু ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।
- ঠান্ডায় সমস্যা হলে গোসলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন খুব ঠান্ডা পানি খাবেন না।
- লিকার চা অথবা কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস গরম করে খান। আপনি চাইলে গরম স্যুপ খেতে পারে। এগুলো কাশি সরাতে সাহায্য করে।
- গরম পানির ভাব নিতে পারেন, দীর্ঘদিন ধরে কাশিতে ভুগলে বিশেষ করে ধূমপান করেন এমন ব্যক্তি সতর্ক হোন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শুকনো কাশি দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার
শুকনো কাশির জন্য আমরা অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকি এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে থাকি শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে জানার জন্য। বিভিন্ন কারণে আমাদের শুকনো কাশি হয়ে থাকে এবং এই কাশি একসময় বৃদ্ধি পেলে তা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। চিকিৎসকের কাছে না গিয়েও ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা দূর করা যায় চলুন সে সম্পর্কে এখন আলোচনা করি।
শুকনো কাশি দূর করার ঘরোয়া প্রতিকার-
- মধু- মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কাশি কমাতে সাহায্য করে। রোজ এক চামচ মধু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন অথবা লিখার চায় মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- হলুদ- হলুদে কারকিউমিন নামে যে উপাদান আছে তার জীবাণুরোধী ও অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস দুধে এক চা চামচ হলুদ ও আট ভাগের এক চা চামচ গোলমরিচের গুড়া মিশিয়ে পান করুন।
- আদা- আদাতেও যে অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি ও জীবাণুররোধী উপাদান আছে তা কফ দূর করতে সাহায্য করে। আদা কুচি করে পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করুন বার লিকার চায়ে আদা কুচি ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
- তুলসী- তুলসী পাতাতে ভিটামিন সি ও জিংক আছে, যা প্রদাহ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
- মসলা চা- পানিতে লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ ইত্যাদি গরম মসলা মিশিয়ে জাল দিয়ে সেই হারবাল টি পান করুন। এতে গলার প্রদাহ কমবে আর কত দূর হবে।
উপসংহার
যে কোন সমস্যার কারণে শুকনো কাশি হতে পারে কিন্তু শুকনো কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ারও অনেক উপায় রয়েছে যা আমরা ইতিমধ্যে উপরে আলোচনা করেছি। চিকিৎসা অথবা ঘরোয়া উপায়ও কাশি না সারলে ও পরীক্ষায় কিছু না পাওয়া গেলে লক্ষ্য করুন কোনো ওষুধের জন্য এটি হচ্ছে কিনা। যেমন উচ্চ রক্তচাপের জন্য কোন ঔষধ সেবনের কারণে কাশি এত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কাশির সময়কাল ও কাশির ধরন বুঝে ঔষধ খেলে তা তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ১৫টি ঘরোয়া উপায় এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন এবং তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারে। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ২৪১৪১
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url